একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আয় করার সেরা পাঁচটি উপায়।

বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এরমধ্যে খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালায় এবং পরিবারকেও কিছুটা সাহায্য সহযোগিতা করতে পারে। অন্যদিকে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তার পরিবারের উপর নির্ভরশীল থাকে। আপনি হয়তো বা তাদের মধ্যে একজন। অনেকেই রয়েছেন যারা স্নাতক বা উচ্চমাধ্যমিক এ পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কলেজের হোস্টেলে অথবা ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে।



একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আয় করার সেরা পাঁচটি উপায়।

একজন স্টুডেন্ট হিসেবে অনেকেই চান যে ছাত্রাবাসে থেকে বা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা কাজ করে যেন কিছুটা অর্থ উপার্জন করা যায়। কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না থাকার কারণে তারা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেন না আসলে কোন কাজগুলো করে তারা খুব সহজেই হোস্টেলে থেকে বা ছাত্রাবস্থায় ছাত্রাবাসে থেকে অর্থ উপার্জন করা যাবে। তাই আজকে আমি আপনাদের জানাব একজন স্টুডেন্ট হিসেবে কিভাবে আয় করতে পারবেন এবং সহজ পাঁচটি সেরা উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। এবং আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি  এই পাঁচটি থেকে যে কোন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।




ইউটিউবে ভিডিও বানানো।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। যেখানে শুধুমাত্র ভিডিও দেখার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছে যারা ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করছে। আপনি যদি না জানেন কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয় এবং সেখানে কিভাবে ভিডিও আপলোড করতে হয়। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি ইউটিউবে ঢুকে সার্চ দিন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়। সার্চ দেওয়ার সাথে সাথে আপনি অসংখ্য রেজাল্ট পেয়ে যাবেন অসংখ্য ভিডিও পেয়ে যাবেন এবং সেগুলো দেখে দেখে আপনিও খুব সহজে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন এবং আপনার চ্যানেলে কিভাবে ভিডিও আপলোড করবেন সেটিও জানতে পারবেন। আপনি যদি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন এবং মিডিয়া কনটেন্ট বানাতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করা শুরু করে দিন। আপনি যে টপিক বা বিষয়গুলো নিয়ে ইন্টারেস্টেড রয়েছেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে বা টপিকগুলো নিয়ে একটি চ্যানেল খুলে সেটিতে ভিডিও আপলোড করা শুরু করুন।


ফেসবুকে ভিডিও বানানো।

বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর সাথে যুক্ত রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত এবং পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি হল ফেসবুক। আর এই ফেসবুক থেকেও প্রচুর পরিমাণে অর্থ আয় করা যায় ফেসবুক পেজ বানিয়ে এবং সেটিতে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে মনিটাইজেশন অন করে। আপনি চাইলে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে ভিডিও আপলোড করে আপনার ভিডিওতে অ্যাড শো করিয়ে মনিটাইজেশন অন করার মাধ্যমে খুব সহজে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন পড়াশোনার পাশাপাশি চাইলেই ছোটখাটো কন্টেন্ট তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড দিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। ফেসবুকের পেজ তৈরি করা খুবই সহজ বর্তমানে ফেসবুক বুঝেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। একটি পেজ তৈরি করুন এবং সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড বা কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে থাকুন। ফেসবুকের রিকোয়ারমেন্ট পূরণ হলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন আসা শুরু হবে এবং সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। আপনি যদি না বুঝে থাকেন সেক্ষেত্রে চাইলেই ইউটিউবে এই বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করা রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন।


টিউশনি করানো।

আপনি খেয়াল করলে দেখবেন অনেক আগে থেকেই টিউশনি করানোর রীতি চলে আসছে। বর্তমানে একজন স্টুডেন্টের পড়াশোনার পাশাপাশি যদি কোন পার্ট টাইম আয়ের উৎস থেকে থাকে সেক্ষেত্রে একমাত্র উৎস হল এই টিউশনি করানো যেটি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে এবং এখনো বিদ্যমান চলছে। আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে পড়াশোনার পাশাপাশি চাইলেই যে কোন একটি টিউশনি অথবা দুই থেকে তিনটি টিউশনি করিয়ে আপনি আপনার হাত খরচ সহজেই চালাতে পারবেন। আপনি যেখানে রয়েছেন সেখানে আশে পাশেই খোঁজ নিয়ে দেখুন অবশ্যই টিউশনির জন্য আপনি কোন না কোন ছাত্র বা ছাত্রী পেয়ে যাবেন।




গ্রাফিক্স ডিজাইন করা।

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ সবকিছু এখন অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়। আপনি খেয়াল করলে দেখতে পারবেন বাজারে অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের লোগো এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন এবং ব্যানার লক্ষ করা যায়। এই ধরনের ডিজাইন লোগো বা ব্যানার এর ডিমান্ড অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে রয়েছ। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকজন এ ধরনের ডিজাইন অনলাইনের মাধ্যমে একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার দ্বারা এই ধরনের ডিজাইনগুলো করিয়ে নিয়ে থাকেন। আপনি যদি একজন স্টোডেন্ট হয়ে থাকেন আর ঘরে বসে আয় করতে চান তবে এখনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিন। শেখার জন্য সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হলো গুগোল এবং ইউটিউব আপনি যদি ইউটিউব বা গুগলের ফটোশপ বা ফটোশপ টিউটোরিয়াল অথবা ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল লিখে সার্চ দেন অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স লিখে সার্চ দেন তাহলে অসংখ্য ভিডিও টিউটরিয়াল পেয়ে যাবেন। সেই ভিডিও টিউটোরিয়াল বা আর্টিকেলগুলো দেখে আপনি খুব সহজেই এগুলো শিখতে পারবেন। লোকাল মার্কেট এই ধরনের কাজের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। স্টুডেন্ট অবস্থায় এটি হতে পারে আপনার জন্য একটি পার্ট-টাইম জব।


অনলাইনে ছোটখাটো ব্যবসা করা।


বর্তমানে ডিজিটাল যুগ বলাই বাহুল্য বর্তমানে অনলাইনে সকল কিছুই বা সব ধরনের পণ্যই পাওয়া যায়। আপনি একজন ছাত্র হিসেবে বা ছাত্রী হিসেবে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ছোটখাটো পণ্য সহজে বিক্রি করতে পারবেন। তার জন্য প্রথমে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বেশি একটিভ থাকেন এবং কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো আপনার জন্য বেস্ট হবে। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক, টুইটা্র, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব। আপনি চাইলে যেকোন একটি প্লাটফর্মে একাউন্ট করে সেখানে আপনার যে পণ্য রয়েছে সেই পণ্যের বিজ্ঞাপন অথবা আপনার পণ্যগুলো সেখানে তুলে ধরতে পারেন। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার পণ্যগুলো বিক্রি করে অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারেন। স্টুডেন্ট অবস্থায় যদি ছোটখাটো ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে পণ্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই নজর দিতে হবে। যেমন আপনি চাইলে টি শার্ট বিভিন্ন ধরনের নোটস বুক, গল্পের বই, ইত্যাদি নিয়ে শুরু করতে পারেন। এতে আপনার অল্প ছোটখাটো ব্যবসা দাড় করে নিতে পারবেন।

আজকে এই পর্যন্তই আশা করি আপনি ছাত্রাবস্তায় লেখাপড়ার পাশাপাশি যেকোন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করে সহজেই আয় করতে পারবেন। কারো বুঝতে অসুবিধা হলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের কমেন্ট এর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য। এই ধরনের টপিক নিয়ে আরো আর্টিকেল পেতে চাইলে SOHOJ Tech এর সাথেই থাকুন। ভালো থাকুন শুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ