আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন বিকাশশীল এবং দ্রুততম প্রযুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এটি নিউরাল নেটওয়ার্ক, মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, নিউরাল স্টাইল ট্রান্সফার এবং নিউরাল মার্কআপ সহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে উন্নয়ন করা হয়েছে।
আজকের প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিশ্বে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি অনেক প্রকারের কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন ডাটা বিশ্লেষণ, প্রতিলিপি লেখা, কম্পিউটার ভিশন, স্বতন্ত্র গবেষণা এবং অন্যান্য।
একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাজের উদাহরণ দেওয়া যাক। একটি কোম্পানি একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে তাদের সম্পূর্ণ মার্কেটিং স্ট্রেটেজি উন্নয়ন করে।
চিকিৎসা সেবায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে সম্পর্কিত।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চিকিৎসা সেবায় অনেক উপযোগী হতে পারে। মানব ডাক্তার হতে বেশি জ্ঞানকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা পরিচালিত হতে দেওয়া যায়। একটি উদাহরণ হল রোবোটিক সার্জারি, যেখানে রোবট সার্জন একটি কঠিন সার্জারি সম্পাদন করতে পারে যা কোনো মানব সার্জন সম্পাদন করতে পারে না। এটি সম্ভব হয় কারণ রোবটটির হাতে একটি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সেন্সর থাকে যা সম্পূর্ণ কনট্রোল করে। সাথে সাথে রোবটটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা পরিচালিত হতে পারে যা কোনো মানব সার্জন সম্পাদন করতে পারে না। আর অতিরিক্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ডাক্তার সমস্যার চিত্র সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং সেই বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।
এ আই সুবিধা কোথায় পাওয়া যায়।
এ আই বা Artificial Intelligence প্রযুক্তি আধুনিক পৃথিবীর জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এ আই এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি মানবকে অসীম সময় এবং কম খরচে সেবা প্রদান করতে সক্ষম করে দেয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ আই ব্যবহার করে অসাধারণ উপকার হচ্ছে।
প্রথমত, ব্যাংকিং ও বিতরণ ব্যবসায় এ আই ব্যবহার করে ক্রেতারা বা সেবাগ্রাহীদের জন্য প্রথম সারা জীবনে পরিশোধের মেয়াদ ও বিনিময় হিসাবের পরিষেবা উন্নয়ন করে থাকে। এ আই দ্বারা ক্রেতারা সর্বোচ্চ মূল্যে পণ্য কিনতে পারেন এবং সেবা পেতে পারেন এবং এছাড়াও তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, শিক্ষার ক্ষেত্রে এ আই শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নয়নশীল পাঠক্রম উন্নয়ন করে এবং তাদের প্রতিভার উন্নয়ন করে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আই এর জনক হিসাবে প্রথমবারের নাম হল জহন ম্যাককার্থি (John McCarthy)। তিনি 1956 সালে একটি সম্মেলনে এই শব্দটি প্রথমবারে ব্যবহার করেন এবং তারপর থেকে এ আই নামটি একটি সাধারণ শব্দ হিসাবে পরিচয় করা হয়।
জহন ম্যাককার্থি একজন আমেরিকান গণিতবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি স্থিরভাবে বিভিন্ন প্রযুক্তি উন্নয়নে যোগ দেন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আই এর জনক হিসাবে তিনি একজন পরিকল্পনাবিদ হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
জহন ম্যাককার্থি এর মধ্যে নতুন প্রযুক্তি ও উন্নয়নশীলতার প্রতি অভিরুচি ছিল এবং তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক গবেষণার প্রকল্প উদ্যোগ নেন। তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং কম্পিউটার ভাষার জনক হিসাবে পরিচিত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম কি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামের একটি নাম হল 'জেনেটিক অ্যালগরিদম' (Genetic Algorithm)। এটি একটি পরিসংখ্যান ভিত্তিক প্রোগ্রাম যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। জেনেটিক অ্যালগরিদম একটি বিশেষ ধরনের অ্যালগরিদম, যা প্রাকৃতিক বিক্রিয়াকে অনুসরণ করে।
একটি জেনেটিক অ্যালগরিদম অনেকগুলি প্রক্রিয়া থেকে পার হয়। একটি প্রক্রিয়া হল 'জেনেটিক অ্যালগরিদম অপারেটর'। এই অপারেটরগুলি হল সিলেকশন (Selection), ক্রসিং অথবা বিন্যাস (Crossover), মিউটেশন (Mutation) এবং রিপ্লেসমেন্ট (Replacement)। এই অপারেটরগুলি ব্যবহার করে অ্যালগরিদম বিভিন্ন প্রক্রিয়া দিয়ে পার হয়, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে সাহায্য করে।
জেনেটিক অ্যালগরিদম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে ব্যবহৃত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বাংলাদেশ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বাংলাদেশ: সমস্যা ও সমাধান
বুদ্ধিমত্তা মানেই মানবদেহের মধ্যে যে স্বাভাবিক ক্ষমতা রয়েছে তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো এমন ক্ষমতা যা কম্পিউটার বা রোবট পরিচালিত সিস্টেম দ্বারা সৃষ্টি করা হয়। এখন দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আকাশপাঠ, হালকা জ্ঞানচর্চা থেকে গড়ে তোলা মেশিন লার্নিং এবং চ্যাটবট তৈরি করা যায়।
তবে একটি দুর্দান্ত প্রশ্ন হলোঃ কি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায় এবং কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে?
বাংলাদেশ একটি দেশ যেখানে জনসংখ্যার দায়িত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এবং একটি প্রয়োজন। জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও মানসম্পন্নতা বাংলাদেশের উন্নয়নের দুটি মৌলিক দিশা। কৃত্রিম বুদ্ধি্মত্তা ব্যাবহারের মাদ্ধ্যমে ইতিমদ্ধ্যে অনেক দেশ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে আসছে ধারনা করা হয় আগামি কয়েক শতকে তা অনেক গুন বেড়ে যাবে একটা সময় এমন হবে দুনিয়াতে কৃ্ত্তিম বুদ্ধিমত্তা ধারা রাষ্ট্র পরিচালনা এবং সকল কঠিন কাজে এর ব্যাবহার করা হবে। তাই বলা যায় হ্যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায় এবং তা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
আজকে এই পর্যন্তই ভালো থাকুন শুস্থ থাকুন sohojtech এর সাথেই থাকুন। আবারো ফিরে আসব নতুন কোনো টপিক নিয়ে ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ
0 মন্তব্যসমূহ