স্বাগতম জানাই sohojtech.com এ আজকের টিউনের বিষয় ডিজিটাল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন করবেন এবং কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় তার খুঁটিনাটি সব বিষয়ে সব কিছু তুলে ধরা হলো এই আর্টিকেল এ। আশা করি এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাশেই থাকবেন। আমরা আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো করব? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাদেরকে একটি উদাহরণ দিচ্ছি বোঝার সুবিধার্থে মার্কেটিং সাইটকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেখানো হলঃ
একটা হচ্ছে ক্লাসিক মার্কেটিং অন্যটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বাজারজাত করার জন্য ক্লাসিক মার্কেটিং করে আসছে। যেমন টিভি, রেডিও, টেলিফোন পাবলিসিটি বেশ জনপ্রিয় এবং এর জনপ্রিয়তা এখনও আছে কিন্তু বর্তমান গুগল, ফেসবু্ক, ইউটিউব এর কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে এই প্রচার মাধ্যমগুলো। বর্তমান বাজারে ক্লাসিক বিজ্ঞাপন এর তুলনায় গ্রাহকরা ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কিনতে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে সেইসাথে অনলাইন ভিত্তিক এই পেশার চাহিদা বেড়ে চলেছে তাই দেরি না করে আপনিও হয়ে যান ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট এর একজন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করব ?
বর্তমানে এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার অনেক বেশি মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে তাই ইউটিউব, গুগল, ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু দেখতে পান এই ছোট্ট ডিভাইসটির মাধ্যমে তাই কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে বাজারজাত করতে শুরু করেছে মাত্র 1 সেকেণ্ডে কয়েক মিলিয়ন বিলিয়ন কাস্টমারের কাছে ভেসে উঠছে তাদের পণ্যগুলো সেখান থেকে যার যার চাহিদা অনুযায়ী ঘরে বসেই পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত পণ্য যেখানে ঘরে বসেই পাওয়া যায় সেখানে ক্লাসিক মার্কেটিং কিভাবে থাকবে। খুব কম সময়ে কম খরচে বেশি গ্রাহক পাওয়া যায় বলেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতেই হবে।
এখন আপনাকে বলব ডিজিটাল মার্কেটিং এর ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে যে বিষয়গুলোর না হলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কখনোই করতে পারবেন না। এগুলো হলোঃ
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- এসএমএস মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- গুগল এনালেটিক্স
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব ?
আপনিন যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখতে হবে শুধু এই চারটি বিষয় না আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো সেগুলো ছয়টি বিষয় ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে আপনার অনেক বিষয় সামনে আসতে পারে সেটা আপনি নিজেই ওভারকাম করতে পারবেন। উপরে আমি 6 টি বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে বলেছি আমরা step-by-step একটি একটি করে দেখব ৬ টি বিষয় সে সম্পর্কে প্রথমে জেনে নিন। আপনি চাইলে অনলাইন থেকে আয় করার আইডিয়া নিয়ে নিতে পারেন।
কনটেন্ট মার্কেটিং।
কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে আমাকে বুঝতে হবে যে আসলে কনটেন্ট কি কন্ডিশন কি মনে করুন আমি একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট বাজারজাত করবো একটা গেঞ্জি বাজারজাত করে বাজারজাত করতে হলে গেঞ্জির কোয়ালিটি, কোয়ানটিটি, গুনাগুন বানানো হলো কিভাবে তৈরি হলো? প্রাইস কেমন? সবকিছু মিলিয়ে এটা একটা কনটেন্ট হতে পারে এই গেঞ্জিটা ভিডিও হতে পারে ওই ভিডিওটা কনটেন্ট এর বর্ণনা দিতে গিয়ে আমাকে একটা অডিও রেকর্ডিং করা লাগতে পারে সেটি একটা কনটেন্ট তো কন্টেন্ট হচ্ছে মূলত একটা কোম্পানির প্রোডাক্ট এর বর্ণনা বৈশিষ্ট্য সবকিছুই।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
সার্চ ইঞ্জিন কি আমরা অনেকেই গুগল ইয়াহু বিং এসব সম্পর্কে জেনে থাকে গুগল আমরা অনেক কিছু সার্চ করে বের করি। গুগল হচ্ছে এক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন গুগলে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আমরা অনেক সফটওয়্যার ভিডিও এবং গান অনেক কিছুই বের করতে পারে কোন কিছু লিখে সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে সাজেস্ট করে অনেক লিংক দিয়ে দিবে কোন কিছু সার্চ করে আমরা দেখতে গেলে যে কোন একটা প্রোডাক্টের নাম অথবা যে কোন গানের নাম লিখে সার্চ করলেই আমাকে আমাদেরকে সাজেস্ট সাইট হিসেবে অনেক লিংক দিয়ে থাক।।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং।
সার্চ ইঞ্জিনে মারকেটিং সেলিং মার্কেটিং এর সংক্ষিপ্ত রূপ সার্চ সার্চিং পেইজে রেংকিং এ থাকার একটি কৌশল এর দুই ধরনের হতে পারে অর্গানিক ম্যাথড, পেইড ম্যাথড যেটা টাকা দিয়ে আপনাকে গুগলে রেংকিং এ এগিয়ে থাকতে হবে আর আর নন পেট মানে হচ্ছে আপনাকে অনেক কাজ করে অনেক কৌশল করে রেংকিং নিয়ে আসতে হবে সেটা অনেক কষ্টের ব্যাপার আপনাকে একদিন এ সেটা সম্ভব না তো এমনি ইউটিউব এবং গুগোল পেজে অনেক লেখালেখি আছে আপনি চাইলে গুগল এ সার্চ করলে অনেক ভিডিও পাবেন এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সবাই জানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো কি কি ফেসবুক, ইউটিউব, লিংকডিন এরপর হচ্ছে টুইটার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা কিভাবে আমাদের প্রোডাক্ট কে বা একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট কে জনপ্রিয় করতে পারি এবং ক্লায়েন্টের কাছে খুব সহজে পাঠাতে পারে আর সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক অনেক এবং অনেক ক্লাইন্ট পাবেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ বেশি সময় এক্টিভ থাকে তাই আমরা যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের প্রোডাক্ট এর এড সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখাই তবে সেখান থেকে আমাদের ক্লাইন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এবং সেল বেশি হয়।
ইমেইল মার্কেটিং।
ইমেইল মার্কেটিং কি ইমেল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে প্রথমে মেইল কারেকশন করতে হবে বিভিন্ন ক্যাম্পেইনে মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনাকে মেইল কালেকশন করে সেই মেইল গুলোতে আপনার প্রোডাক্ট কে বারবার রিটার্ন করতে হবে। লিড জেনারেশন এর মাদ্ধমে আপনাকে আপনার কাংক্ষিত ক্রেতার ইমেইল প্রথমে কালেক্ট করবেন এবং সেইন মেইল এড্রেসে আপনি আপনার প্রডাক্ট এর বিস্তারিত বা প্রডাক্ট কেনার অফার পাঠাতে পারেন এতে করে ইমেইল এর মাদ্ধমে আপনার মার্কেটিং হবে এবং ক্রেতার পছন্দ হলে সেই প্রডাক্ট সে কিনবে আপনার সেল ২ গুন বেড়ে যাবে এই পদ্ধতি অনেক usefull মেথড।
ওয়েব এনালাইটিক্স টুল।
গুগলের চমৎকার একটি ফাংশন গুগলের এই ওয়েব এনালাইটিক্স টুল দিয়ে পেইজ এর অবস্থান কেমন বর্তমান অবস্থান কেমন বিজিটর কতটুকু আসলো এরপর পেজ ভিও দেওয়া হয়েছে এবং মাউন্ট এভারেস্ট এসব জানতে পারবেন। আমরা এতোক্ষণ কথা বলছিলাম ভিভিন্ন মার্কেটিং বিষয়ে এগুলো সবই হচ্ছে আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জন্য এবং আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য। কিভাবে আপনি কাস্টমার মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার সব কিছু ম্যানেজ করতে পারবেন এসব নিয়ে আলোচনা করেছিলাম সেই অবস্থান কোথায় কোথা থেকে আসলো আপনার পেজে অবস্থান কেমন সবকিছু জানতে অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করা হয় অ্যানালিটিক্স use করার জন্য আপনার একটি ইমেইল এড্রেস থাকলেই হবে। একাউন্ট করার জন্য গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের শুধু গুগল এনালাইটিক্স লিখতে হবে এরপর নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে সেটিং করতে পারে সেটিং করার পর আমাদের এখানে থেকে কোনো অবস্থান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে আছে এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভিডিও মার্কেটিং।
ভিডিও মার্কেটিং কি আসলে এটি অনেকবার আমার আলোচনার মধ্যে উঠে এসেছে এটি একটা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ভিডিও মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম একটি ব্যাপার তো ভিডিও মার্কেটিং করতে গেলে আপনাকে আমি আগেই বলেছি আপনার ভিডিও কিভাবে ক্রিয়েট করতে হবে এর সাউন্ড কোয়ালিটি কেমন এবং আপনার সব কিছু সাজিয়ে নিতে হবে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনি কি দিতে চাচ্ছেন এবং আপনার প্রোডাক্ট এর গুনাগুন কি সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে। তো তুলে ধরে এই ভিডিওটাকে মার্কেটিং করতে হবে ইউটিউব এর মাধ্যমে এবং ইউটিউবে রেকর্ড করার পর সেটিকে আরো সাইটে আপলোড করতে হবে এবং সেটিকে অন্যান্য মার্কেটিং সাইট আপনার পেজ এ আপনি পোষ্ট করতে পারেন ফেসবুকে দিতে পারেন এরপর টুইটার শেয়ার করতে পারেন। এছারাও আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর আইডিয়া নিয়ে নিতে পারেন।
আজকে এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন শুস্থ থাকবেন sohojtech এর সাথেই থাকবেন। আর্টিকেল টি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না । ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন। আপনার কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। THANKS
0 মন্তব্যসমূহ